Home / 2nd Success History | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
|
||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ এবং জনসংখ্যার বিবেচনায় এশিয়ায় পঞ্চম ও বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম দেশ। ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৫ কোটি ২৫ লক্ষ, প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১০১৫ জন এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৩৭। বর্তমান হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী ৫০ বছর বা এর কম সময়ে বাংলাদেশের জনসংখ্যা দ্বিগুণ হবে। বর্ধিত এই জনসংখ্যা দেশের আবাদযোগ্য কৃষি জমি, শিক্ষা, বাসস্থান, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানের উপর যে প্রভাব ফেলছে তা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের পথে বড় বাঁধা হয়ে দড়িয়েছে। বর্তমান সরকার বিভিন্ন কর্মকৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনসংখ্যা বৃদ্ধির এ হার কে আরও নিম্নমুখি রাখার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ১৯৫৩ সালে বেসরকারীভাবে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে শুরু হয়। কর্মসূচীর গুরত্ব অনুধাবন পূর্বক ১৯৬৫ সালে সরকার কর্মসূচীকে অধিগ্রহণ করে এবং সীমিত আকারে ক্লিনিক ভিত্তিক পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম আরম্ভ করে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সকল সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে সর্বাধিক গুরত্ব প্রদান করে এবং কর্মসূচীকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য সর্বাত্বক প্রয়াস চালায়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির ভয়াবহতা উপলব্ধিকরে ১৯৭৫ সালে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে বলেছিলেন,
তৎকালিন সরকার এর গুরুত্ব উপলব্ধি করে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস কল্পে সরকারিভাবে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচিকে এগিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করে। সেই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন আর্থ সামাজিক প্রতিকুল অবস্থার মধ্যেও বাংলাদেশের পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের অগ্রগতি বিশ্বে প্রশংসা অর্জন করে। জনমিতিক সূচকসমূহ এর যথার্থতা প্রকাশ করে। ২০১১ সালে প্রকাশিত বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক হেলথ্ সার্ভে (বিডিএইচএস-২০১১) প্রতিবেদনে দেখা যায় এদেশের মোট প্রজনন হার বা মহিলা প্রতি গড় সন্তান জন্মদানের হার সত্তর দশকে ৬.৩ থেকে বর্তমানে হ্রাস পেয়ে ২.৩ এ দাঁড়িয়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৩.০% থেকে বর্তমানে ১.৩৭ তে নেমে এসেছে। একইসাথে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারকারীর হার ৭.৭ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৬১.২ তে উন্নীত হয়েছে। অপরদিকে এক বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুহার (প্রতি হাজার জীবিত জন্মে) সত্তর দশকে ১৫০ থেকে হ্রাস পেয়ে বর্তমানে ৫২ এবং মাতৃমৃত্যু হার ১৯৮২ সালের ৬.২ থেকে ২০১০ সালে ১.৯৪ তে নেমে এসেছে। আশির দশকে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর জনসংখ্যা কার্যক্রমের ত্বরিত সাফল্যের প্রত্যাশায় এবং মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর সাথে জনসংখ্যা বৃদ্ধি হারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সম্পর্ক বিবেচনা করে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের পাশাপাশি সারাদেশব্যাপী তৃণমূল পর্যায়ে মাতৃ-শিশু স্বাস্থ্য সেবা প্রদান কার্যক্রম পরিচালিত করে। তবে ধারাবাহিক অগ্রগতি সমীক্ষায় কখনো কখনো অগ্রগতির শ্লথ গতি থাকলেও বিগত সাড়ে চার বছরে জনসংখ্যা ও মাতৃ-শিশু স্বাস্থ্য কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য সাফল্য লক্ষ্য করা যায়। সহস্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রা বা মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (এমডিজি)- ৪ ও ৫ অর্জনে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর গৃহীত কার্যক্রমসমূহ : ২০০০ সালে জাতিসংঘের সহস্রাব্দ সম্মেলনে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) নির্ধারণ করা হয়। জাতিসংঘ সহস্রাব্দ ঘোষণা নামে পরিচিত এ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতিসংঘের সদস্যভূক্ত ১৮৯ টি দেশ ও অন্ততঃ ২৩ টি আর্ন্তজাতিক সংস্থা ২০১৫ সালের মধ্যে ৮ টি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। লক্ষ্যসমূহ হলো :
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এই সহস্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রা ৪ ও ৫ অর্জনে অর্থাৎ শিশুমৃত্যু হ্রাস ও মাতৃ স্বাস্থ্য উন্নয়নে প্রত্যক্ষ ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তা আলোচনার পূর্বে এমডিজি ৪ ও ৫ সংশ্লিষ্ট সূচকসমূহ ও এদের বর্তমান অবস্থা উপস্থাপন করা হলো - এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা- ৪, শিশুমৃত্যু হার হ্রাস :
এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা- ৫, মাতৃ স্বাস্থ্যের উন্নতি :
বিগত ৫ বছরে (২০০৯-২০১৩ ) অর্জিত সাফল্যে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কার্যক্রম: পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ১৯৭৫ সাল থেকে পরিবার পরিকল্পনার পাশাপাশি মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে আসছে। ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত পরিবার পরিকল্পনার সেবা কেন্দ্র সমূহের মাধ্যমে গর্ভকালীন সেবা, স্বাভাবিক প্রসব সেবা, জরুরী প্রসব সেবা, গর্ভোত্তর সেবা, ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা, বয়:সন্ধিকালীন স্বাস্থ্যসেবা, প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা যৌনবাহিত রোগের সেবা, গর্ভপাত পরবর্তী সেবা সহ স্বাস্থ্য ও পুষ্টি শিক্ষা দেওয়া হয়। নিম্নবর্ণিত সেবা প্রতিষ্ঠানসমূহের মাধ্যমে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর সেবা প্রদান করে আসছে-
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত নিম্নেবর্ণিত কার্যক্রমসমূহ শিশুমৃত্যু হ্রাস ও মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়নে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করেছে-
যে কোন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সেবা প্রদানের যাবতীয় ব্যবস্থা থাকা সত্বেও চাহিদা সৃষ্টির জন্য যথাযথ কার্যক্রমের অনুপস্থিতিতে সে কার্যক্রম বেশিদূর এগোতে পারেনা। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আইইএম ইউনিট জনসংখ্যা কার্যক্রম, শিশুমৃত্যু হ্রাস ও মাতস্বাস্থ্য উন্নয়ন কার্যক্রমে চাহিদা সৃষ্টিতে এই ইউনিটের জন্মলগ্ন থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখে আসছে। সচেতনতা কার্যক্রমে তথ্য, শিক্ষা ও উদ্বুদ্ধকরণ (আইইএম) ইউনিট এর ভুমিকা : নিম্ন স্বাক্ষরতার হার এবং অন্যান্য আর্থ-সামাজিক সূচকের নিম্ন অবস্থা সত্ত্বেও বাংলাদেশের পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি একটি সফল কর্মসূচি। জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর ক্রমবর্ধমান ব্যবহার বৃদ্ধির ফলশ্রুতিতে মোট প্রজনন হার হ্রাস এর সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। ধারাবাহিক রাজনৈতিক অঙ্গীকার, সৃজনশীল কার্যক্রম গ্রহণ, সরকারি ও বেসরকারি কার্যক্রমের সমন্বয়, শক্তিশালী তথ্য, শিক্ষা ও যোগাযোগ কার্যক্রম এবং মাঠ প্রশাসনের সূদৃঢ় অঙ্গীকারের কারণে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও পুষ্টি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য, শিক্ষা ও উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম বিগত চার দশক ধরে এ দেশে অত্যন্ত সফল বলে প্রমানিত। গৃহীত যোগাযোগ কার্যক্রমের ফলে জন্মনিরোধক ব্যবহারের হার ও ছোট পরিবার গঠনের প্রতি মানুষের ঝোঁক বেড়েছে। মোট প্রজনন হার, শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার, শ্বাসতন্ত্রের অসুস্থতা এবং নারীর প্রতি সহিংসতা কমেছে। তাছাড়া নিরাপদ মাতৃত্ব, মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানো, নবজাতকের যত্ন, বয়ঃসন্ধিকালীন যত্ন, লিঙ্গ সমতা, সর্বজনিন টীকাদান ইত্যাদি বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। সূচনালগ্ন হতে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরাধীন আইইএম ইউনিট তথ্য, শিক্ষা ও যোগাযোগ কার্যক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, উন্নয়ন সহযোগি ও বেসরকারি সংস্থার সাথে সমন্বয়পূর্বক এ কার্যক্রম সারাদেশে পরিচালিত হচ্ছে। পরিবার কল্যাণ সহকারী, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ও পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকাদের মাধ্যমে পরিচালিত আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগ কার্যক্রমের পাশাপাশি ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াকেও সমান গুরুত্বের সাথে ব্যবহার করা হয়েছে। সত্তরের এর দশকের মাঝামাঝি বাংলাদেশ বেতারে এবং আশির দশকের শুরুতে বাংলাদেশ টেলিভিশনে পৃথক জনসংখ্যা সেল খোলা হয়েছে। আইইএম ইউনিটের অর্থায়নে তখন থেকেই বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন উদ্দীষ্ট জনগোষ্ঠীর সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশুস্বাস্থ্য, বয়ঃসন্ধিকালীন প্রজনন স্বাস্থ্য, লিঙ্গ সমতা ও এইচআইভি/এইডস এসকল বিষয়ে বাংলাদেশ বেতার (ঢাকা ও অন্য ১১টি উপকেন্দ্র) প্রতিদিন ৩৬০ মিনিট প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করে। একই বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশন শুক্রবার ব্যতীত প্রতিদিন ২৫ মিনিটের কার্যক্রম পরিচালনা করে।
বাংলাদেশ বেতারের জনসংখ্যা সেল পরিবার পরিকল্পনা এবং মা ও শিশুস্বাস্থ্য বিষয়ে যে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে তার মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠান, সাক্ষাৎকার, সরাসরি ফোন ইন অনুষ্ঠান, উদ্বুদ্ধকরণমূলক গান, ডকুমেন্টরী ইভেন্টস, ছোট গল্প ও জিংগেল অন্যতম। বাংলাদেশ টেলিভিশন যে সকল অনুষ্ঠান প্রচার করে তার মধ্যে সিনেমা স্লাইড, টিভি-স্পট, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান, টক-শো, নাটক, সিরিয়াল, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও মিউজিক ভিডিও অন্যতম। আইইএম ইউনিটের প্রধান প্রধান কার্যক্রম :
পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশু স্বাস্থ্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কার্যক্রমসমূহ :
দেশব্যাপি বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস, সেবা ও প্রচার সপ্তাহ, বিভিন্ন বিভাগে গণউদ্বুদ্ধকরণ সভা উদযাপন সহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে জনগোষ্ঠির মাঝে পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য ও জেন্ডার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির ব্যাপক কার্যক্রমসমূহ মানুষকে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর ভয়াবহতা তুলে ধরে মানুষের মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তনে যথেষ্ট সহায়কের ভুমিকা পালন করেছে। পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশুস্বাস্থ্য কার্যক্রমে সাফল্য : পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর কর্তৃক উপরোক্ত কার্যক্রমসমূহ গ্রহণ করায় তা শিশুমৃত্যু হার হ্রাস ও মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়নে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে ৫ বছরের নীচে শিশুমৃত্যুর হার প্রতি হাজার জীবিত জন্মে ৫৩। ২০১৫ সালের সহস্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রা ৪৮ নির্ধারিত সময়ের আগেই টপকে যাওয়া সম্ভব হবে বলে জোর আশাবাদ ব্যক্ত করা যায়। শিশুমৃত্যুর হার বর্তমানে প্রতি হাজার জীবিত জন্মে ৪৩। ২০১৫ সালের মধ্যে এর লক্ষ্যমাত্রা ৩১ নির্ধারণ করা আছে। যা অতিসহজেই অতিক্রম করা সম্ভব হবে। মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নতির ক্ষেত্রে অর্জনও চোখে পড়ার মতো। প্রতি লাখ জীবিত জন্মে বর্তমানে ১৯৪ জন মা মারা যায়। ২০১৫ সালে এ সংখ্যা ১৪৩ এ নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা আছে। মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নয়নে গৃহিত বাস্তবধর্মী কার্যক্রমের ফলে ২০১৫ সালের মধ্যেই এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা যায়। বিগত এক দশক মাতৃমৃত্যুর হার প্রায় ৪০% হ্রাস পেয়েছে যা এক যুগান্তকারী সাফল্য হিসাবে বিশ্ব দরবারে সমাদৃত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সাফল্য :
|
||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||